বুথের মধ‍্যে জয় শ্রীরাম ধ্বনি : তৃণমূলের আপত্তিতে সরিয়ে দেওয়া হল দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোট কর্মীকে

22nd April 2021 8:33 pm বর্ধমান
বুথের মধ‍্যে জয় শ্রীরাম ধ্বনি : তৃণমূলের আপত্তিতে সরিয়ে দেওয়া হল দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোট কর্মীকে


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :  রাজ্য জুড়ে বহুবার অশান্তি ছড়িয়েছে জয় ‘শ্রীরাম শ্লোগান ’ নিয়ে। এবার একেবারে ভোট গ্রহন কেন্দ্রে উঠলো ’জয় শ্রীরাম’ শ্লোগান । বুথের ভিতরে ‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগান দেওয়ার  অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে  সরিয়ে দেওয়া হল ’থার্ড’ পোলিং অফিসার অর্কজিং ভট্টাচার্য্য কে  । বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ দফার ভোটের দিন ঘটনাটি ঘটেছে পূর্বস্থলী দক্ষিন বিধানসভার দোল গোবিন্দপুর জিএসপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৫ নম্বর বুথে । অপসারিত থার্ড পোলিং অফিসার অর্কজিৎ ভট্টাচার্য্য যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান নি । তবে ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদে স্বোচ্চার পূর্বস্থলী দক্ষিনের তৃণমূল প্রার্থী স্বপন দেবনাথ । নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে স্বপন বাবু ওই থার্ড পৌলিং অফিসারকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন ।  ভোট গ্রহন শুরুর আগে এদিন পূর্বস্থলী দক্ষিন বিধানসভার ৩৫ নম্বর বুথে মকপোল হয় । 
অভিযোগ মকপোল সুষ্ঠ ভাবে সমাপ্ত হবার পরেই থার্ড পোলিই অফিসার অর্কজিৎ ভট্টাচার্য্য বলে ওঠেন ,‘জয় শ্রীরাম সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেছে’।থার্ড পোলিং অফিসারের  মুখ থেকে ‘জয় শ্রীরাম’ শ্লোগান শুনেই প্রতিবাদ জানান বুথে থাকা তৃণমূলের এজেন্ট সুব্রত সাহা। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বুথের মধ্যে । তৃণমূলের এজেন্টের আপত্তিতে এর পরেই কমিশন ব্যবস্থা নিয়ে বুথের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় থার্ড পোলিং অফিসারকে । তার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় । 


এই খবর পাওয়ার পরেই পূর্বস্থলী দক্ষিণের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী স্বপন দেবনাথ ৩৫ নম্বর বুথে পৌছে যান । সবিস্তার জানার পর স্বপন বাবুও ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন । তিনি দাবি করেন ,‘কর্তব্যরত থার্ড পোলিং অফিসার নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন । তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে’ । বিশেষ কোনও একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্যেই থার্ড পোলিই অফিসার বুথের ভিতরে জয় শ্রীরাম শ্লোগান দিয়েছেন বলেও স্বপন দেবনাথ অভিযোগ করেন । বুথের নিরাপত্তার  দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক  জওয়ান বলেন,মকপোল ঠিকঠাক শেষ হওয়ার পর থার্ড পোলিং অফিসার জয় শ্রীরাম বলায় একজন এজেন্ট আপত্তি তোলেন । তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে । 


পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভা আসনে প্রতিদ্বন্দী বিজেপি প্রার্থী রাজীব কুমার ভৌমিক যদিও বলেন,“জয় শ্রীরাম’  কোনও রাজনৈতিক শ্লোগান  নয় । প্রভু রাম চন্দ্রের নাম মুখে নেওয়ায় কোনও অন্যায় আছে বলে তিনি মনে করেন না । এতে ভোট প্রক্রিয়া প্রভাবিত হওয়ারও কিছু নেই“ ।


বুথের প্রিজাইডিং অফিসার সুদীপ্ত সিনহা  জানিয়েছেন, “মক পোলিং সমাপ্ত হতেই থার্ড পোলিং অফিসার ’জয় শ্রীরাম’ বলে ফেলেন। তা নিয়ে আপত্তি ওঠে । সেই কারণে কমিশন ব্যবস্থা নিয়ে থার্ড পোলিং অফিসারকে সরিয়ে দিয়েছে “। 

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।